ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে? এবং ৪১টি লিংক তৈরির কৌশল সমূহ
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে চলুন দেখে নেয়া যাক, বর্তমানে ইন্টারনেট জগতে প্রতিযোগিতা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। শুধু সুন্দর কনটেন্ট তৈরি করলে হবে না গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ স্থান পেতে হলে প্রয়োজন শক্তিশালী ব্যাকলিংক স্ট্রাটেজি।
ব্যাকলিংক মূলত অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আসা লিংক , যা সার্চ ইঞ্জিন কে আপনার কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা বোঝায়। এই আর্টিকেলে আমরা ৪১ টি স্পষ্ট ও কার্যকর হেডিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরির প্রক্রিয়া আলোচনা করব , যা নতুন ও পুরনো উভয় ব্লগারের জন্য সমান কার্যকর হবে।
সূচিপত্রঃ ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে? এবং ৪১ টি লিঙ্ক তৈরির কৌশল
- ব্যাকলিংক কি এবং কেন
- ব্যাকলিংকের গুরুত্ব ও কৌশল সমূহ
- ব্যাক লিঙ্কের ধরন ও কৌশল সমূহ
- উচ্চমানের কনটেন্ট ও ব্যাকলিংক তৈরি
- প্রতিযোগী বিশ্লেষণ ব্যাকলিংক তৈরির কৌশল
- অতিথি পোস্ট লেখা ও ব্যাকলিংক তৈরি
- ব্লগ কমেন্ট ব্যাকলিংক তৈরির কৌশল
- সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার কৌশল
- ফোরামে অংশগ্রহণ করুন ব্যাকলিংক দিয়ে
- ইনফোগ্রাফি তৈরি করুন ব্যাকলিংক দিয়ে
- ব্রোকেন লিংক ও বিল্ডিং ব্যবহার করুন
- লোকাল বা ওয়েব ডিরেক্টরি সাবমিশন
- প্রেস রিলিজ প্রচার বা পাবলিশ
- গেস্ট পোস্টিং ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ
- নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করে লিঙ্ক করুন
- ভিডিও কনটেন্ট এর ব্যাকলিংক ব্যবহার
- ইন্টারভিউ ও ফিচার ইমেজ অপটিমাইজেশন
- ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্স পেজে ব্যাক লিঙ্ক তৈরি
- কনটেন্ট রিপারপোজিং কৌশল সমূহ
- সোশ্যাল বুকমার্কিং ব্যাকলিংক সাইট
- উপসংহার
ব্যাকলিংক কি এবং কেন
ব্যাক লিঙ্ক হলো আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি অন্য ওয়েবসাইটের রেফারেন্স বা লিংক।
গুগল এটি এক ধরনের ভোট হিসেবে গণনা করে , যা আপনার কনটেন্ট এর মান প্রমাণ করে। যত
বেশি উচ্চমানের ব্যাকলিংক থাকবে , তত বেশি আপনার
ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়বে। তবে শুধু সংখ্যা নয়, গুণগত মান সমান জরুরী।
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে উদাহরণস্বরূপ , একটি প্রখ্যাত সংবাদ মাধ্যম
থেকে পাওয়া একটি লিঙ্ক যত নিম্নমানের লিঙ্গের চেয়ে বেশি কার্যকর। তাই
ব্যাকলিংকের উদ্দেশ্যে শুধু লিংক সংগ্রহ নয় , বরং সঠিক উৎস থেকে মানসম্মত লিঙ্ক
অর্জন।
ব্যাক লিঙ্ক হল এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটের দিকে দেওয়া
লিংক। যখন কোন ওয়েবসাইট আপনার সাইটের কনটেন্ট লিংক দেয় , তখন সেটি ব্যাকলিংক
হিসেবে গণ্য হয়। গুগলের অ্যালগরিদম এ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ র্যাঙ্কিং
ফ্যাক্টর , কারণ এটি বোঝায় যে অন্য কেউ আপনার কনটেন্টকে মূল্যবান মনে করছে।
ব্যাকলিংক আসলে ওয়েবের মধ্যে বিশ্বাসের ভোটের মতো কাজ করে , যা আপনার ডোমেন
অথরিটি বাড়ায় এবং সার্চ রেজাল্টে উজ্জ্বল স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি
করে।
ব্যাকলিংকের গুরুত্ব ও কৌশল সমূহ
ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব হল মানসম্মত ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি , অর্গানিক
ট্রাফিক এবং ব্র্যান্ড অথরিটি বাড়ানোর অন্যতম প্রধান উপায়। গুগল বা অন্যান্য
সার্চ ইঞ্জিন যখন দেখে যে আপনার সাইটে বিভিন্ন বিশ্বস্ত সাইট থেকে লিংক এসেছে ,
তখন তারা ধরে নেয় যে আপনার কনটেন্ট নির্ভরযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক। এর ফলে
র্যাঙ্কিং উন্নত হয় ,. পাঠকের আস্থা বাড়ে এবং আপনার ব্যবসা বা ব্লগ দ্রুত
বৃদ্ধি পায়। তাই ব্যাকলিংক কেবল এসইও জন্য নয় , বরং দীর্ঘ মেয়াদী
অনলাইন সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে গুগল সহ সব সার্চ ইঞ্জিন
ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করার সময় ব্যাকলিংকের মান ও সংখ্যা গুরুত্ব
দিয়ে বিবেচনা করে। মানসম্মত ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন
অথোরিটি বাড়ায় ,যা দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল ট্রাফিক নিশ্চিত করে। এছাড়া
ব্যাকলিংকের মাধ্যমে সরাসরি ভিজিটর আসতে পারে , যাকে রেফারেল টাফিক বলা হয় ।
ভালো ব্যাকলিংক ব্রান্ড রেপুটেশন ও গড়ে তোলে , কারণ অন্য ওয়েবসাইট আপনার
কনটেন্টকে মূল্যবান মনে করে লিংক দিচ্ছে । তাই SEO তে সফল হতে চাইলে ব্যাংক লিঙ্ক
নিয়ে কাজ করা অপরিহার্য ।
ব্যাক লিঙ্কের ধরন ও কৌশল সমূহ
মূলত দুটি ধরনের ব্যাকলিংক রয়েছে , একটি হলো DoFollow এবং অন্যটি হলো
NoFollow । DoFollow হল ব্যাকলিংক সার্চ ইঞ্জিন কে আপনার সাইটে লিংকের
রেফারেন্স ট্রান্সফার করে , যা SEO তে সরাসরি প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে NoFollow হল
ব্যাক লিংক ট্রাফিক আনতে পারে , কিন্তু র্যাঙ্কিং এ সরাসরি প্রভাব
ফেলে না। এছাড়া এডিটোরিয়াল ব্যাকলিংক , গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক , প্রোফাইল
ব্যাকলিংক ইত্যাদি রয়েছে , যা বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগে। প্রতিটি ধরনের
ব্যাকলিংকের নিজস্ব গুরুত্ব ও ব্যবহার রয়েছে।
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে ডুফলো বনাম নোফলোঃ
DoFollow ব্যাকলিংক হল এমন লিঙ্ক যার সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দেশ দেয়
লিঙ্ক ফলো করতে এবং লিংক জুস পাস করতে। এটিSEO উন্নয়নে সাহায্য করে।
NoFollow ব্যাকলিংক জুস পাস করে না , তবে এটি আপনার সাইটে ট্রাফিক আনার
ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। সফল SEO কৌশলে উভয় ধরনের ব্যাকলিংকের একটি
ভারসাম্যপূর্ণ মিশ্রণ থাকা উচিত , কারণ গুগল স্বাভাবিক ব্যাকলিংক প্রোফাইল
পছন্দ করে।
উচ্চমানের কনটেন্ট ও ব্যাকলিংক তৈরি
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে উচ্চমানের কনটেন্টই প্রাকৃতিক ব্যাকলিংক
পাওয়ার মূল চাবিকাঠি। যদি আপনার কনটেন্ট পাঠকের সমস্যার সমাধান দেয়
, তথ্যবহুল হয় এবং সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয় , তাহলে অন্যরা
স্বাভাবিকভাবেই সেটিকে রেফারেন্স হিসেবে লিংক করবে। কনটেন্ট অবশ্যই হতে হবে মৌলিক
, গভীর ভাবে গবেষণা ভিত্তিক এবং আপডেটেড। কেবল শব্দ সংখ্যা নয় , বরং মান ও
গঠন পাঠককে আকর্ষণ করবে। শিরোনাম ও সাবহেডিং এমন ভাবে তৈরি করুন যাতে পাঠক
ক্লিক করতে আগ্রহী হয়। ছবি , ইনফোগ্রাফিক ও ভিডিও যোগ করলে কনটেন্টের মান আরো
বাড়ে , যা ব্যাকলিংক তৈরীর সম্ভাবনা বাড়ায়।
গুণগতমান সম্পন্ন কনটেন্ট হলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য সাইট গুলো লিংক দেবে। আপনার
কনটেন্ট গবেষণা ভিত্তিক , তথ্যপূর্ণ ও পাঠককে আকৃষ্ট কারী হতে হবে। কনটেন্ট সহজ ও
সাবলীল ভাষায় লেখা উচিত। ছবি , চার্ট , ভিডিও যুক্ত করলে পাঠকের আগ্রহ
বাড়ে, ভালো হেডলাইন ও সাব হেডলাইন দিন যাতে ক্লিক বাড়ে। অবৈধ বা অনুলিপি
কন্টেন্ট এড়িয়ে চলুন।
প্রতিযোগী বিশ্লেষণ ব্যাকলিংক তৈরির কৌশল
আপনার নিসে প্রতিযোগীদের ব্যাকলিংক সোর্স খুঁজে বের করা অত্যন্ত
জরুরী। এজন্য Ahrefs , SEMrush বা ইউবারসাজেস্ট এর মত টুল ব্যবহার করা যেতে
পারে। প্রতিযোগীর কোন ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পেয়েছে তা দেখে একই ধরনের সোর্সে
আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। এতে আপনার ব্যাকলিংক তৈরি সহজ হবে। প্রতিযোগীদের
ব্যবহৃত এম অ্যাঙ্কর টেক্সট , কন্টেন্ট টাইপ এবং লিংকের ধরন ও বিশ্লেষণ করুন
, যাতে আপনি আরো ভালো মানের লিঙ্ক তৈরি করতে পারেন। এভাবে প্রতিযোগী বিশ্লেষণ
আপনাকে শর্টকাট পথ দেখাবে।
আপনার প্রতিযোগীদের ব্যাকলিংক সোর্স খুঁজে বের করুন। তারা কোন সাইট থেকে লিংক
পেয়েছে , তা দেখতেAhrefs , SEMrush ব্যবহার করুন। তাদের সাথে যোগাযোগ করে
গেস্ট পোস্ট বা লিংক অনুরোধ করতে পারেন। এভাবে আপনি প্রাসঙ্গিক ও মানসম্মত লিংক
পেতে পারেন। প্রতিযোগীদের সফল কৌশল থেকে শিক্ষা নেওয়া অনেক উপকারী। প্রতিযোগী
বিশ্লেষণ ছাড়া ব্যাকলিংক বিল্ডিং অকার্যকর হতে পারে , কারণ তখন আপনি ভুল
সাইটে সময় নষ্ট করতে পারেন। প্রতিযোগীর কৌশল দেখে আপনি নিজের জন্য একটি কার্যকর
লিংক বিল্ডিং রোডম্যাপ তৈরি করতে পারবেন।
অতিথি পোস্ট লিখা ও ব্যাকলিংক তৈরি
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে অতিথি পোস্টিং বা গেস্ট পোস্টিং হল ব্যাকলিংক
তৈরির সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। আপনি আপনার নিস সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে মূল্যবান
আর্টিকেল লিখে পাঠাতে পারেন , বিনিময়ে তারা আপনার সাইটের একটি লিংক দেয়। এটি
শুধু এসিও নয় , বরং ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতেও সহায়ক। তবে অবশ্যই অথরিটি
ওয়েবসাইট বেছে নিন এবং কনটেন্ট এর মান উচ্চ রাখুন। আপনার লেখার মধ্যে
স্বাভাবিকভাবে লিংক যুক্ত করুন , যাতে পাঠক বিরক্ত না হয়। গেস্ট পোস্ট
দীর্ঘমেয়াদে রেফারেল ট্রাফিক ও আনতে পারে।
অন্যের সাইটে গেস্ট পোস্টিং একটি কার্যকর কৌশল। এতে আপনি আপনার
কন্টেন শেয়ার পারবেন এবং সেই সাথে লিংক পাবেন। অবশ্যই অথরিটি ওয়েব সাইটে
পোস্ট করুন। যাতে আপনার ব্র্যান্ডের মূল্য বৃদ্ধি পায় । গেস্ট পোস্টিং শুধু
ব্যাক লিংক নয় , নতুন অডিয়েন্স পাওয়ারও সুযোগ দেয়।
ব্লগ কমেন্ট ব্যাক লিংক তৈরির কৌশল
ব্লগ কমেন্ট করা একটি সহজ ব্যাকলিংক তৈরির পদ্ধতি। আপনার নিস সম্পর্কিত
ব্লগ পোস্টে অর্থবহ ও প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক
দিতে পারেন। তবে স্প্যাম এড়াতে সব সময় গুণগত মানের সাইট বেছে নিন। মন্তব্যটি
যেন আলোচনা সাথে প্রাসঙ্গিক হয় এবং পাঠকের জন্য মূল্য যোগ করে। ব্লগ কমেন্ট
সাধারণত নোফলো হয় , কিন্তু এটি নেটওয়ার্কিং এবং ব্র্যান্ড উপস্থিতি বাড়ায়।
আপনার নিস সম্পর্কিত ব্লগে অর্থবহ কমেন্ট করুন এবং সুযোগ পেলে লিংক দিন। অবশ্যই
কমেন্ট প্রাসঙ্গিক ও মানসম্মত হতে হবে। স্প্যামি কমেন্ট এড়িয়ে চলুন ,
কারণ তা এসিও ক্ষতি করে। ব্লক কমেন্ট সাধারণত নোফলো হলেও রেফারেল ট্রাফিক
এনে দেয়।
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে অন্য ব্লগে গিয়ে অর্থপূর্ণ মন্তব্য করা একটি
পুরনো কিন্তু কার্যকর কৌশল। কমেন্ট থেকে পাওয়া লিংক সাধারণত নোফলো ও হয় ,
কিন্তু এগুলো প্রাসঙ্গিক হলে রেফারেল ট্রাফিক আনে এবং সম্পর্ক তৈরি করে। কমেন্ট
করার সময় অবশ্যই পোস্ট ভালোভাবে পড়ে তারপর মূল্যবান মতামত দিন। শুধু নাইস পোস্ট
বাট থ্যাংকস লিখে কোন লাভ নেই। বরং প্রাসঙ্গিক ও তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্য করুন , যাতে
ব্লগ মালিক ও পাঠক আপনাকে গুরুত্ব দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার কৌশল
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সক্রিয় থাকা আপনার কনটেন্ট এর প্রচার বাড়ায় এবং
পরোক্ষভাবে ব্যাকলিংক পেতে সাহায্য করে। ফেসবুক , টুইটার , লিঙ্কডইন বা
পিন্টারেস্টে কনটেন্ট শেয়ার করলে সেটি অন্যরা দেখে তাদের সাইটে লিংক দিতে পারে।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ , কমিউনিটি এবং পেজ ব্যবহার করে টার্গেটেড
অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। সুপ্রিয় যোগাযোগ ও মূল্যবান পোষ্ট আপনাকে
প্রাকৃতিক ভাবে সাহায্য করবে।সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার কনটেন্ট শেয়ার
করুন এবং ফেসবুক , টুইটার , প্রিন্টারেস শেয়ারিং থেকে ট্রাফিক আসতে পারে,
এবং অন্যরা লিংক দিতে আগ্রহী হয়। গ্রুপ ও কমিউনিটিতে সক্রিয় থাকুন , নিয়মিত
পোস্ট ও এনগেজমেন্ট বাড়িয়ে নেটওয়ার্ক গড়ুন।
ফোরামে অংশগ্রহণ করুন ব্যাকলিংক দিয়ে
নিস সম্পর্কিত ফোরাম বা অনলাইন কমিউনিটিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিন। প্রশ্নের উত্তর
দিন , সমস্যার সমাধান দিন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার সাইটের লিংক যুক্ত করুন।
তবে সব সময় প্রাসঙ্গিক এবং সাহায্যকারী হতে হবে। ফোরাম অংশগ্রহণ কেবল ব্যাক লিংক
নয় , বরং আপনার অথরিটি এবং সম্পর্ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। ফোরামে আপনার বিষয়ে
আলোচনা করুন এবং সুযোগ পেলে লিংক শেয়ার করুন অবশ্যই সাহায্যকারী ও তথ্য বহুল
উত্তর দিন। ফোরামে ভালো নাম অর্জন করলে লিঙ্ক পাওয়া সহজ হয়। নিয়মিত অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করুন।
ফোরাম হলো অনলাইন আলোচনা প্ল্যাটফর্ম যেখানে মানুষ প্রশ্ন করে ও উত্তর দেয়।
যেমন , কোওরা রেডিট , এবং নির্দিষ্ট নিস ভিত্তিক ফোরাম। এখানে সক্রিয় থেকে এবং
প্রশ্নের সমানসম্মত উত্তর দিয়ে আপনি নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
এটি রেফারাল ট্রাফিক আনে এবং প্রাসঙ্গিক ব্যাকলিংক তৈরি করে। তবে স্প্যামিং
এড়িয়ে যেতে হবে , নইলে ফোরাম থেকে ব্যান হয়ে যেতে পারেন। আপনার লক্ষ্য
হবে আসলেই সহায়ক তথ্য প্রদান করা , যাতে পাঠক আপনার লিংকে ক্লিক করে সাইটে
আসে।
ইনফোগ্রাফিক তৈরি করুন ব্যাক লিঙ্ক দিয়ে
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে দৃশ্যমান কনটেন্ট যেমন
ইনফোগ্রাফিক মানুষ বেশি শেয়ার করে। আপনি যদি একটি তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয়
ইনফোগ্রাফিক তৈরি করেন , অন্য সাইট সেটি ব্যবহার করার সময় আপনার ওয়েবসাইটে লিংক
দিতে বাধ্য থাকবে। এটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার একটি প্রমাণিত উপায়। ক্যানভা বা
Venngage এর মত টুল ব্যবহার করে সহজেই ইনফোগ্রাফিক বানানো যায়। চিত্রের
মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করে ইনোফোগ্রাফিক বানান। আকর্ষণীয় হলে অন্য সাইড এটি
শেয়ার করবে ও লিংক দেবে।ক্যানভা বা Venngage ব্যবহার করে সহজেই ইনফোগ্রাফিক তৈরি
করা যায়। ইনফোগ্রাফিকে্র সাথে আপনার সাইট লিংক যুক্ত রাখতে ভুলবেন না।
ইনফোগ্রাফিক হল এমন ভিজুয়াল কন্টেন্ট যা তথ্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে।
এগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ এবং ইনফোগ্রাফিক ডিরেক্টরিতে শেয়ার করলে অনেকেই
আপনার ডিজাইন ব্যবহার করতে চাইবে এবং সোর্স হিসেবে লিংক দিবে। একটি ভাল
ইনফোগ্রাফিক ভাইরাল হয়ে গেলে ডজন খানেক ব্যাকলিংক পেতে
পারেন। ইনফোগ্রাফিক তৈরি করার সময় সঠিক তথ্য, সুন্দর ডিজাইন , এবং
শেয়ারযোগ্য ফরম্যাট ব্যবহার করুন।
ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং ব্যবহার করুন
অন্যদের ওয়েবসাইটে ভাঙ্গা বা কাজ না করা লিংক খুঁজে বের করে তাদের
জানান এবং পরিবর্তে আপনার প্রাসঙ্গিক কন্টেন্টের লিংক অফার করুন। এটি দুই পক্ষের
জন্য লাভজনক , তাদের সাইটে ভাঙ্গা লিঙ্ক ঠিক হয় এবং আপনি একটি ব্যাকলিংক
পান। ব্রোকেনলিংক চেকার এর মত টুল এতে সাহায্য করতে পারে। অন্য সাইটে ভাঙ্গা
লিংক চিহ্নিত করে তাদের জানান এবং আপনার প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট এর লিংক দিন । এতে
তারা ভাঙ্গা লিংক পরিবর্তন করতে পারবে এবং আপনি একটি মানসম্মত ব্যাঙ্ক লিংক
পাবেন । এতে এটি দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।
ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে এটি একটি স্মার্ট কৌশল যেখানে আপনি অন্য
সাইটে কাজ না করে ব্রোকেন লিঙ্ক খুঁজে বের করেন। এরপর সেই সাইটের মালিক কে জানান
এবং আপনার প্রাসঙ্গিক কন্টেনের লিংক প্রস্তাব করেন। তারা অনেক সময় খুশি মনে লিংক
পরিবর্তন করে দেয়।Ahrefs বা ব্রোকেন লিংক চেকার এর মত টুল দিয়ে সহজে
ব্রোকেন লিংক খুঁজে পাওয়া যায়। এই কৌশলে উভয় পক্ষেরই লাভ হয় তাদের সাইড ঠিক
হয় এবং আপনি ব্যাকলিংক পান।
লোকাল বা ওয়েব ডিরেক্টরি সাবমিশন
আপনার ব্যবসা বা ব্লগকে লোকাল ডিরেক্টরীতে লিস্ট করলে মানসম্মত ব্যাকলিংক পাওয়া
যায়। গুগল মাই বিজনেস , বিংপ্লেসস , Yelp এবং বাংলাদেশী ডিরেক্টরি সাইটে
প্রোফাইল তৈরি করুন। সঠিক ঠিকানা , ফোন নম্বর ও ওয়েবসাইট লিংক দিন। এটি লোকাল
এসিও উন্নত করে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। লোকাল ডিরেক্টরি ও ব্যবসায়িক
তালিকাভুক্তিতে আপনার ওয়েবসাইট যুক্ত করুন। এতে লোকাল ট্রাফিক বাড়ে এবং লিংক
পাওয়া যায়। গুগল মাই বিজনেস , বিংপ্লেসেস ইত্যাদি জনপ্রিয়।
ওয়েব ডিরেক্টরী হল এমন অনলাইন লিস্ট যেখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তাদের ক্যাটাগরি
অনুযায়ী তালিকাভুক্ত থাকে। যেমন, বিএমওজেড বা বিওটিডাবলু। এই ধরনের ডিরেক্টরীতে
আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট করলে একটি স্থায়ী ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। যদিও এই পদ্ধতি
এখন আগের মতো কার্যকর নয় , কিন্তু এখনোও নির্দিষ্ট নিস ডিরেক্টরি থেকে
লিংক পাওয়া এসিওতে সহায়ক। বিশেষ করে লোকাল এসইও তে ওয়েব ডিরেক্টরী
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অবশ্যই অথরিটি ডিরেক্টরি বেছে নিতে হবে ,
নইলে google শাস্তি দিতে পারে।
প্রেস রিলিজ প্রচার বা পাবলিশ
নতুন পণ্য , সেবা বা ইভেন্ট সম্পর্কে প্রেস রিলিজ তৈরি করে বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল
ও মিডিয়ায় প্রকাশ করুন প্রতিটি প্রেস রিলিজে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করলে
মানসম্মত ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। পি আর ওয়েব বা স্থানীয় নিউজ পোর্টাল
এই কাজে ব্যবহার করতে পারেন। নতুন প্রোডাক্ট বা ইভেন্ট এর জন্য প্রেস রিলিজ তৈরি
করে সংবাদ মাধ্যমে পাঠান। এতে ওয়েবসাইটের লিংকসহ প্রচার হয় এবং ব্যাক লিংক
বাড়ে। পেশাদার প্রেস রিলিজ কোম্পানির সাহায্য নিতে পারেন।
প্রেস রিলিজ হল কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর বা আপডেট অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করা।
এটি করলে সেই নিউজে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করা যায়। বড় মিডিয়া সাইড
থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া SEOএর জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ করে নতুন পণ্য ,
সার্ভিস বা ইভেন্ট লঞ্চের সময় প্রেস রিলিজ ব্যবহার করলে স্বল্প সময়ে প্রচুর
ভিজিটর পাওয়া যায়। ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে প্রেস রিলিজ লেখার
সময় তথ্যবহুল ও প্রফেশনাল টোন ব্যবহার করতে হবে। আকর্ষণীয় হলে নিউজ সাইটের
সম্পাদক সহজে গ্রহণ করবে। উচ্চমানের মিডিয়া ব্যাকলিংক গুগলের চেয়ে অনেক বেশি
মূল্যবান।
গেস্ট পোস্টিং ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ
গেস্ট ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন । গেস্ট ব্লগাররা সাধারণত অন্যান্য
সাইটে উচ্চমানের কনটেন্ট দেয় এবং লিংক শেয়ার করে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুললে
আপনি একে অপরের সাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। সামাজিক মাধ্যমে বা লিংকডইনে
সক্রিয় যোগাযোগ রাখুন , সহযোগিতার সুযোগ খুঁজুন এবং পারস্পরিক লিংক
বিনিময়ের জন্য প্রস্তাব দিন। সম্পর্ক গড়ে তুলতে ধৈর্য দরকার , তবে এটি
দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসু হয়।
গেস্ট পোস্টিং হলো এমন একটি কৌশল যেখানে আপনি অন্য সাইটে আর্টিকেল লিখে প্রকাশ
করবেন এবং নিজের সাইটের লিংক দেন। এটি উচ্চ অথরিটি সাইট থেকে মানসম্মত ব্যাকলিংক
পাওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। ব্লগে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় কিভাবে গেস্ট
পোস্ট লেখার সময় পারসঙ্গিক সাইট নির্বাচন করুন এবং মূল্যবান কনটেন্ট দিন। আপনার
কনটেন্ট যত ভালো হবে , লিংক তত বেশি মূল্যবান হবে। নিয়মিত গেস্ট পোস্টিং করলে
আপনার ব্র্যান্ড ভিজিবিলিটি ও ট্রাফিক দুটোই বাড়বে।
নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করে লিঙ্ক করুন
পুরনো কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করুন। নতুন তথ্য যোগ করুন এবং ভুল সংশোধন করুন।গুগল
তাজা কনটেন্ট পছন্দ করে এবং র্যাংক বাড়ায় । এটি ব্যাকলিংক পাওয়ার সম্ভাবনা ও
বৃদ্ধি করে। পুরনো আর্টিকেল ও কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
। নতুন তথ্য যোগ করুন , লিঙ্ক ঠিক রাখুন , এবং ট্রেন্ড অনুসারে কনটেন্ট
তৈরি করুন। আপডেটেড কনটেন্ট বেশি শেয়ার হয় এবং প্রাকৃতিক ব্যাকিং পাওয়ার
সম্ভাবনা বাড়ায়। গুগল ও নতুন ও রিলেভেন কনটেন্ট পছন্দ করে , ফলে র্যাংকিংও
বাড়ে। পুরনো কনটেন্ট আপডেট করে নতুন তথ্য যোগ করলে অনেক সময় পুরনো লিংক পুনরায়
একটিভ হয় এবং নতুন লিংক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
ভিডিও কনটেন্ট এর ব্যাকলিংক ব্যবহার
ভিডিও কনটেন্ট বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম। ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও
আপলোড করে ভিডিও ডেসক্রিপশনে আপনার ওয়েবসাইট লিংক দিন। ভিডিও থেকে ওয়েবসাইটে
ট্রাফিক আসার সুযোগ থাকে এবং অন্যরা ভিডিও দেখে লিংক দিতে আগ্রহী হয়। ভিডিওর
মাধ্যমে কনটেন্ট সহজে বোঝানো যা ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সুবিধা।
ভিডিওর মাধ্যমে বিষয় সহজে বোঝানো যায়। ইউ ওকে ভিডিও পোস্ট করুন এবং বর্ণালী
লিংক দিন এতে ভিডিও থেকে ট্রাফিক আসে এবং অন্যরা লিংক দিতে পারে।
ইউটিউব , ভিডিও বা অন্যান্য ভিডিও প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড করে ভিডিও
বর্ণনায় আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিন। ভিডিও কনটেন্ট সহজেই ভাইরাল হয় এবং দীর্ঘ
মেয়াদের ট্রাফিক আনে। বিশেষ করে টিউটোরিয়াল , রিভিউ বা টিপস টাইপ ভিডিওতে মানুষ
বেশি আগ্রহী। , ভিডিওর মধ্যে আপনার ব্রান্ড নাম উল্লেখ করুন যাতে দর্শক মনে রাখে।
ইন্টারভিউ ও ফিচার ইমেজ অপটিমাইজেশন
আপনার সাইটে ব্যবহৃত ছবি ভালোভাবে অপটিমাইজেশন করুন। ছবি ফাইল নাম ও অল্ট
ট্যাগে কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অন্য সাইটে আপনার ছবি ব্যবহৃত হলে তারা অল্ট
ট্যাগে থাকা লিংক ব্যবহার করে আপনার সাইটে ব্যাকলিংক পেতে পারে। মানসম্মত ছবি
তৈরি ও শেয়ার করা একটি কার্যকর ব্যাকলিংক কৌশল। আপনি যদি আপনার নিসের বিশেষজ্ঞ
হন , তাহলে অন্য ব্লগ বা পডকাস্টে ইন্টারভিউ দিলে তারা সাধারণত আপনার সাইটের লিংক
যুক্ত করে। , একইভাবে আপনি যদি কাউকে ইন্টারভিউ নেন এবং আপনার ব্লগে পোস্ট করেন ,
তারা সেটি শেয়ার করে আপনার জন্য ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করবে। ইন্টারভিউ কন্টেন্ট অনেক
সময় বেশি শেয়ার হয় ফলে প্রাকৃতিক ব্যাকলিংক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এটি
ব্র্যান্ড অথরিটি তৈরির ও কার্যকর উপায়।
ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্স পেজে ব্যাকলিংক তৈরি
অনেক বড় ওয়েবসাইট ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্স পেজ তৈরি করে যেখানে তারা টপ বা
ভ্যালুয়েবল রিসোর্সের লিস্ট করে। আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা সার্ভিস
সেখানে যুক্ত করার জন্য অনুরোধ করুন। রিসোর্স পেজ থেকে পাওয়া ব্যাকলিংক খুবই
মানসম্মত এবং দীর্ঘমেয়াদি। অনেক ওয়েবসাইটের রিচার্স পেজে থাকে যেখানে তারা
নির্দিষ্ট বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ লিংক লিস্ট আকারে দেয়। যদি আপনার কনটেন্ট সেই
বিষয়ক হয় , তাহলে ওয়েবসাইট মালিক কে ইমেইল করে রিসোর্স লিস্টে আপনার লিংক
যুক্ত করার অনুরোধ করতে পারেন। রিসোর্স পেজ থেকে ব্যাকলিংক সাধারণত ডোফলো হয় এবং
অনেক ভিজিটর নিয়ে আসে। এজন্য কনটেন্ট হতে হবে তথ্যবহুল ও সহায়ক। যত বেশি
প্রাসঙ্গিক রিসোর্স পেজে জায়গা পাবেন, তত দ্রুত অথরিটি তৈরি হবে।
লিংক এক্সচেঞ্জ এড়িয়ে চলুনঃ কোনভাবেই শুধু লিংক পাওয়ার জন্য লিংক
এক্সচেঞ্জ করবেন না। এটি google এর দৃষ্টিতে স্প্যাম হিসেবে ধরা পড়ে এবং
পেনাল্টির কারণ হতে পারে। বরং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে
লিংক পাওয়ার চেষ্টা করুন।
পডকাস্টে অতিথি হওয়াঃ বর্তমানে পডকাস্ট জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার
নিসে পডকাস্টে অতিথি হিসেবে অংশ নিন এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের
লিংক শেয়ার করুন। পডকাস্ট সোনা শ্রোতাদের মধ্যে লিংক শেয়ার হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে লিং পাওয়ার একটি অন্যান্য মাধ্যম। পডকাস্ট ইন্টারভিউতে অংশ নিলে
হোস্ট সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটের লিংক তাদের শো নোটে যুক্ত করে। এটি উচ্চমানের
প্রাসঙ্গিক ব্যাক লিংক দেয়। আপনি নিজেও পডকাস্ট , চালু করতে পারেন এবং অতিথিদের
আমন্ত্রণ জানাতে পারেন যারা তাদের ওয়েবসাইটে আপনার পডকাস্টের লিংক শেয়ার করবে।
ই বুক প্রকাশঃ নিজের ওয়েবসাইট থেকে ই বুক ডাউনলোড করিয়ে দিন। এই ই-বুক
অন্যান্য সাইট বা ব্লগে রিভিউ বা আলোচনা হলে আপনার সাইটের লিংক থাকবে। ই বুক হতে
প্রাসঙ্গিক ব্যাকলিংক পাওয়া সহজ হয় কারণ এটি গভীর ও তথ্যবহুল কনটেন্ট।
কনটেন্ট রিপার পোজিং কৌশল সমূহ
একই কনটেন্টকে বিভিন্ন ফরমেটে রূপান্তর করা যায়। যেমন , ব্লগ পোস্টকে ভিডিও ,
ইনফোগ্রাফিক্স , পডকাস্ট , বা প্রেজেন্টেশনে রূপান্তর করা। এরপর সেই কনটেন্ট
বিভিন্ন প্লাটফর্মে শেয়ার করলে ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। এই
কৌশলে একবারের কনটেন্ট অনেকবার কাজে লাগানো সম্ভব হয়।
স্কাইস্ক্রেপার তৈরির কৌশলঃ স্কাইস্ক্রেপার পেতনিক হল একটি জনপ্রিয়
কৌশল যেখানে আপনি আপনার নিসের সবচেয়ে ভালো কনটেন্ট খুঁজে বের করে সেটির চেয়ে
আরো ভালো ও বিস্তারিত কনটেন্ট তৈরি করেন। এরপর সেই কনটেন্ট ব্যবহার করা ওয়েবসাইট
গুলোকে জানান , যাতে তারা আপনার উন্নত কনটেন্ট লিংক দেয়। এই কৌশল ব্যবহার করলে
উচ্চমানের ব্যাগলিং পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
সোসাইটি ও ক্লাব মেম্বারশিপঃ আপনার নিসের সাথে সম্পর্কিত সোসাইটি ,
ক্লাব ও প্রফেশনাল গ্রুপে মেম্বারশিপ নিন। অনেক সময় এই ধরনের প্লাটফর্মে
প্রোফাইল পেইজে ওয়েবসাইট লিংক দেয়া যায়। এটি এক ধরনের মানসম্মত ব্যাকলিক। অনেক
মেম্বারশিপ সাইট তাদের সদস্যদের ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে। আপনি যদি কোন
প্রফেশনাল সংগঠনের সদস্য হোন, তাদের প্রোফাইল পেজে আপনার লিংক দেয়া যেতে
পারে।
নিউজ লেটার প্রচারঃ নিউজ লেটারে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর লিংক
যুক্ত করুন এবং পাঠকদের মাঝে পাঠান। ভালো নিউজ লেটার হলে সেটি অন্যদের কাছে
শেয়ার হবে , যার ফলে প্রাকৃতিক ব্যাক লিংক আসতে শুরু করবে। নিয়মিত পাঠকদের সাথে
যোগাযোগ রাখতে নিউজ লেটার অপরিহার্য ।
সোশ্যাল বুকমার্কিং ব্যাকলিংক সাইট
সোশ্যাল বুক মার্কিং হল এমন সাইট যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয় কনটেন্স
শেয়ার করে রাখে। উদাহরণস্বরূপ , রেডিট মিক্স , এবং স্কোপ ইট ইত্যাদি। এসব সাইটে
আপনার ব্লগ পোস্ট শেয়ার করলে তা অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যায় এবং ব্যাক
লিঙ্কের সুযোগ তৈরি হয়। যদিও সোশ্যাল বুক মার্কিং থেকে পাওয়ার লিংক সাধারণত
নোফলো হয় , কিন্তু এগুলো রেফারাল ট্রাফিক বাড়ায় এবং আপনার কনটেন্টের
ভিসিবিলিটি বৃদ্ধি করে। নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট এসব সাইটে পোস্ট করলে আপনার
ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়বে এবং ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক ব্যাকলিংক আসার সম্ভাবনা
বেশি হবে। রেড্ডিট , ডিগ , স্টাম্বেল আপন এর মত সোশ্যাল
বুক মার্কিং সাইটে আপনার কনটেন্স শেয়ার করুন। এগুলো থেকে আসা ট্রাফিক এবং
লিংক ভ্যালু SEO জন্য উপকারী।
উপসংহার
ব্যাকলিংক SEO এর অন্যতম প্রধান স্তম্ভ , এবং এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার
ওয়েবসাইটের অথরিটি ও ট্রাফিক বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। তবে ব্যাকলিংক তৈরির সময়
গুণগতমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, সংখ্যাকে নয়। সব সময় প্রাসঙ্গিক , অথরিটি
এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে ব্যাকলিংক নেয়ার চেষ্টা করুন। , পাশাপাশি , দীর্ঘ মেয়াদী
কৌশল হিসেবে নিয়মিত মানসম্মত কন্টেন তৈরি ও প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন
, ব্যাকলিংক বিল্ডিং, একটি ধৈর্য ও নিয়মিত প্রচেষ্টার খেলা , আজ শুরু করলে
ফলাফল আসবে সময়ের সাথে , কিন্তু তা হবে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল।
আপনার মূল্যবান মতামত এখানে টাইপ করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url